ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

তদন্তে বেরিয়ে আসছে ওসি প্রদীপের সম্পদের পাহাড়

নিউজ ডেস্ক ::  টেকনাফ থানার আলোচিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। যত দ্রুত সম্ভব এর প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয় ২ এর উপ পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ওসি প্রদীপের চট্টগ্রামের দাশের লাল খান বাজারে একটি ফ্ল্যাট, কক্সবাজারে দুটি হোটেলের মালিকানা, বেয়ালখালীতে স্ত্রী চুমকির নামে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। রয়েছে মৎস্য খামার, আগরতলা ও অষ্ট্রেলিয়ায় তার বাড়ি রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগও উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে।

ওসি প্রদীপের আয়কর নথিতে শুধু বেতন ভাতা, শান্তিরক্ষা মিশন থেকে পাওয়া ভাতা ও জিপিএফ থেকে সুদ প্রাপ্ত টাকার বর্ণনা রয়েছে।

তার স্ত্রী চুমকি গৃহিণী হলেও ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মৎস্য খামার তার নামে করা হয়। পাথর ঘাটায় ৪ শতক জমি রয়েছে চুমকির নামে; যার মূল্য ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

ওই জমির ছয়তলা ভবনের বর্তমান মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার, পাঁচলাইশে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকার জমি কেনা হয়; ২০১৭-১৮ সালে কেনা হয় কক্সবাজারে ঝিলংজা মৌজায় ৭৪০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট; যার দাম ১২ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

সব স্থাবর সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া অস্থাবর সম্পদের ৫ লাখ টাকা দামের প্রাইভেটকার, ১৭ লাখ টাকার মাইক্রোবাস ও ৪৫ ভরি স্বর্ণ। ব্যাংকে ৪৫ হাজার ২০০ টাকা দেখানো হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুরের পাহাড়ি এলাকা থেকে শুটিংয়ের কাজ শেষে ফেরার পথে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন ওসি প্রদীপ কুমারসহ ৯ আসামি।

পাঠকের মতামত: